সংবাদ শিরোনাম: |
❒ সম্পাদক ও প্রকাশক ছবি:
বরগুনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ডেইলী মনিং গ্লোরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক এবং বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ নেছার উদ্দিন এর বিরেুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ সোহেল। যার জিআর খিলগাঁও থানার মামলা নম্বর-৬(১০)২৪।
জানা যায় যে, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ সোহেল বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে। যার সিআর মামলা নম্বর-৩৫৬/২৪। আদালত ঢাকার খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জকে ৫(পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে নালিশী দরখাস্তটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ প্রদান করেন। রাজধানীর খিলগাঁও থানায় অফিসার ইনচার্জ ০৫ অক্টোবর মামলা রুজু করেন। যার জিআর খিলগাঁও থানার মামলা নম্বর-৬(১০)২৪।
মামলায় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সদস্য মোঃ সোহেল (৩৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ শামীম ওসমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার ডিবি সঞ্জিত কুমার রায়, সাবেক যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান, ডিসি ডিবি রমনা মোঃ হুমায়ুন কবির, ডিএমপি সিটিএসবি ডিসি রহমত উল্লাহ, ডিএমপি সিটিএসবি ডিসি আহমেদুল ইসলাম, ডিবি ডিসি ইয়াসিন আরাফাত, ডিএমপি সিটিটিসি ডিআইজি আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ সড়ক শরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শাহজাহান খান এমপি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ওসমান আলী, শ্যামলি পরিবহনের মালিক গনেশ চন্দ্র ঘোষ, ইরফান সেলিম, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ৭৯ জনের নামে এবং ৬০/৭০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
ওই মামলায় বরগুনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ডেইলী মনিং গ্লোরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক এবং বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ নেছার উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ মামলার উল্লেখিত ঘটনার সময় ০৪ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫:৩০ টায় মোঃ নেছার উদ্দিন তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
মামলার অপর এক আসামী বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সবুজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী মোঃ সোহেল বলেন, বরগুনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ডেইলী মনিং গ্লোরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক এবং বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ নেছার উদ্দিনকে আমি চিনি না এবং তাকে আমি আসামী করি নাই। তিনি আরো বলেন যে, মামলা সাজিয়েছেন সিনিয়র ভাইরা, আমি জানি মামলায় আসামী তিন জন শেখ হাসিনা, কাদের এবং কামাল।
এদিকে, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক, বরগুনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ডেইলী মনিং গ্লোরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক এবং বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ নেছার উদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ, বরগুনা প্রেসক্লাব, বামনা প্রেসক্লাব, পাথরঘাটা প্রেসক্লাব, বেতাগী প্রেসক্লাব, আমতলী প্রেসক্লাব ও তালতলী প্রেসক্লাব। একই সাথে পেশাদার সাংবাদিকদের এ ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতির আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক এবিএম বজলুর রহমান খান রুমি বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ রকম মিথ্যা মামলা চলমান থাকলে পেশাদারিত্ব রক্ষায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে এদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। তাই স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।