সংবাদ শিরোনাম: |
বরগুনায় সদর উপজেলার আমতলী একে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ইতির ধর্ষক ও হত্যাকারী মইনুল হাসান টিটুকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা । রবিবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমতলী এ.কে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন। আমতলী এ কে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আমতলী একে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত ) উম্মে সালমা, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ৮ম ,নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ধর্ষক ও হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি ছাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রাস্তাঘাটে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন আয়োজকেরা।
আমতলী একে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত ) উম্মে সালমা, মানববন্ধনে বলেন, ধর্ষক ও হত্যাকারী যে-ই হোক তাকে যেনো সর্ব্বোচ শাস্তি প্রদান করা হয়। এ ঘৃণ্য কাজের বিচার যেনো দ্রুত সম্পন্ন হয়, অন্যথায় এর চেয়েও কঠিন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে সদর উপজেলার আমতলী একে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির সুমাইয়া আক্তার ইতি নামের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমাইয়া আক্তার ইতি সদর উপজেলার ৮নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের মনির হোসেন এর ছোট মেয়ে।এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়া আক্তার ইতির পরিবার একই এলাকার মইনুল হাসান টিটুকে ধর্ষক ও হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করছে। অপরদিকে মইনুল হাসান টিটু সদর উপজেলার ৯ নং এম বালীয়াতলী গ্রামের পূর্ব নিমতলী গ্রামের আইউব আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জগলুল হায়দার বলেন,এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়া বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে বরগুনা থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলা করেছেন। এখানে পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। আটকের চেষ্টা চলছে।