সংবাদ শিরোনাম: |
ঢাকাস্থ্য বরগুনা ফোরামের উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন, কাকরাইল, ঢাকা। বরগুন বাসিকে নিয়ে প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বরগুনা ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব ডা. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পুরো বরিশাল অঞ্চল আজ অবহেলিত, পীর আওলিয়াদের এলাকা বরগুনা জেলায় এতদিন জুলুমের রাজত্ব ছিল। ইসলাম প্রিয় বরগুনায় ইসলামি আন্দোলনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছি সমস্ত কাজকে এবাদত মনে করে সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করা। তিনি আরো বলেন, একাজ শুধু বরগুনা ফোরামের না শুধু জামায়াতের না এটা প্রত্যেকটা মুসলিমের। ভারতের মিডিয়ায় চট্টগ্রাম নিয়ে চক্রান্তের কথা শুনছি জামায়াতের একজন কর্মীর এক ফোটা রক্ত থাকতে বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও আমরা অন্য কাউকে ইজারা দিব না ইনশাআল্লাহ। আমারা আর কাউকে আমাদের প্রভু হিসেবে গ্রহন করবো না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার আমির, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন বলেন, বরগুনা জেলাকে এতদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলা হতো, সেখানে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর হিসেবে বীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বরগুনায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেখানে আলেম-ওলামা তথা মুসলমানদের কোন অধিকার ছিল না। বরগুনা ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল জলিল আকন্দ তার বক্তব্যে বলেন আমাদের বরগুনা জেলায় তিনটি আসন ছিল কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য আমাদের আসন গুলো ভেঙে তিনটির জায়গায় দুইটি করেছিল, আমরা বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, আমাদের নদীমাতৃক এলাকার জন্য, এলাকার উন্নয়নের সুবিধার্থে পুনরায় তিনটি আসন পুনর্বহাল করতে হবে।
ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব ডাক্তার সুলতান আহমদ তার বক্তব্যে বরগুনা জেলার উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উক্ত প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলার উপজেলা ফোরামের সভাপতি, সেক্রেটারি সহ জেলা ও শাখা ফোরামের প্রায় পাঁচ শতাধিক সদস্য এবং বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলার বাংলাদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির, জেলা শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্যবৃন্দ।