×
বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম: আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পাথরঘাটায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্নীতির চিত্র প্রদর্শন দুমকী উপজেলায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে র‍্যালি ও সমাবেশ তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্থ ৫১২ অসহায় পরিবারকে সহায়তা করল 'কারিতাস বাংলাদেশ' মহিপুরে কারিতাসের আয়োজনে তথ্য ও প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জে সকল ধর্মের মানুষের এক সম্প্রীতি সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত রাজাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত কলাপাড়ায় নীলগঞ্জে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করলো এলাকাবাসী, পুলিশে সোপর্দ চীন আমাদের বন্ধু: ড. ইউনূস চান্দখালী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবির কলাপাড়ায় গভীর রাতে মাদ্রাসার তালা ভেঙ্গে আসবাব পত্র ও নগদ অর্থ চুরি
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল?
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪, ০৩:৫৩:০০ পিএম , আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪, ০৪:২৪:৫৭ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার:
GK_2024-11-21_673f05d6f304c.jpg

কেই এই তাতী লীগ নেতা ইকবাল কি বা তার পরিচয় সবকিছুই রয়েছে অজানা, রয়েছে তার একাধিক স্ত্রী। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পরে যেতে হল জেল হাজতে। ইকবালের বিরুদ্ধে রয়েছে রাজনৈতিকসহ, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা। গত ৫ আগস্ট ঢাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি হামলা, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে সাজিয়া আফরিন রিপা নামের এক নারীকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ করেন ইকবাল। বিয়ের কয়েক মাস পড়েই ইকবালের আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। প্রথম স্ত্রী ডা.সাজিয়াকে রেখে অন্য নারীর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হন ইকবাল। পরকিয়া জরাবেনা সেই মর্মে ব্যাবসার নাম করে স্ত্রীকে দিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকে লোন করানো হয়। এরপরই লোনের টাকা নিয়ে ইকবাল লাপাত্তা হয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গত ২০১৪ সালে খোদেজা খাতুন রুমা (৩৫) কে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে জোরপূর্বক বিবাহ করেন ইকবাল। প্রথম স্ত্রী ডা. সাজিয়া'র বিষয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা ইকবালের কাছে জানতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন তাঁতীলীগের নেতা ইকবাল। শুরু করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর উপর মানুষিক ও শারিরীক নির্যাতন। এখানেই শেষ নয়। তিনি দশ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগ হলে দুই স্ত্রী রেখে পর নারীতে আবারো আসক্ত হন ইকবাল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরপর গা ডাকা দেন তিনি। গোপনে শুরু করেন গার্মেন্টস ব্যাবসা, আর এ ব্যবসার আড়ালেই চলে তার নারী কেলেঙ্কারি। ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে যুক্ত করেন শিরিন আক্তার কেয়া নামের এক নারীকে। পুরোদমে চলে ওই নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক। এর আগে বনশ্রী মেরাদিয়া এলাকায় তাদের অবৈধ সম্পর্কের সাক্ষী রয়েছে এলাকাবাসী। তাদের পরকীয়া কর্মকান্ড দেখে ফেলে স্থানীয়রা তাই রাতের আঁধারে সব নিয়ে পালিয়ে চলে আসে মিরপুর এলাকায়। পরকীয়ায় না জড়ানোর বিষয় একাধিক বার তার প্রথম স্ত্রী ডা.সাজিয়া আফরিন সতর্ক করলে তাকে তালাক দেয়াসহ খুন ও গুমের হুমকি দেয় ইকবাল ও পরকীয়া নারী শিরিন কেয়া। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোগী নারী সাজিয়া আফরিন, যাহার জিডি নাম্বার-৭৬৯।

 

গত ২৭/৮/২০২৪ তারিখে মিরপুরে ইমন হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে, গত ১৩ তারিখ রোজ বুধবার দিবাগত রাত ২:৩০ মি: রুপনগর থানাধীন ৬ নাম্বার সেক্টরের ট ব্লকে ইকাবালের পরকিয়া নারী শিরিন আক্তার কেয়ার ৩৭ নাম্বার রোডে ১নাম্বার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পল্লবী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই পুরো মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ে তাদের পরকীয়া ও কুকৃতির কর্মকান্ড। সকাল ১১ ঘটিকায় ইকবালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। ইকাবাল ঢাকা দক্ষিন শাহবাগ থানা তাতীলীগের সভাপতি।
ইকবালের স্ত্রী ডাঃ সাজিয়া আফরিন জানান, আমার সাথে পারিবারিক ভাবে ২০০৬ সালে বিবাহ হয়। বিবাহের বয়েস ১৮ বছর চলমান, দাম্পত্য জীবনে আমাদের ১২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিবাহের পরপরই একাধিক পরনারীতে আসক্ত হতে থাকেন ইকবাল। বিষয়টি একাধিকবার সতর্ক করলে তিনি আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেন। কয়েকবার আমাকে মারধর করে চলে যান, পরবর্তীতে জানতে পারি শিরিন আক্তার কেয়া নামের এক মেয়ের সাথে কয়েক মাস ধরে রাত্রি যাপন করেন ইকবাল। এবিষয়ে পল্লবী থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি, সেই থেকেই শিরিন কেয়া এবং ইকবাল আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন। একাধিকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেন। এখন আমার জিবনের কোন নিরাপত্তা নেই। ইকবাল আমাকে জামিনদার রেখে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছে ,সব টাকা ওই শিরিনা আকতার কেয়ার কাছে রেখেছে এবং তার পিছনে খরচ করেছে । সব ব্যাংক থেকে আমাকে চাপ দিচ্ছে এখন আমি দিশেহারা কিভাবে এই ঋণ পরিশোধ করব।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝