সংবাদ শিরোনাম: |
বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ প্রাইভেট কারের চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুইজনের ডোপ টেস্ট পজিটিভ এসেছে। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এই পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার গভীররাতে পূর্বাচল উপশহরের ৩০০ ফুট সড়কে প্রাইভেট কারের চাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। এ সময় সহপাঠী মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা গুরুতর আহত হন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মুবিন আল মামুন, যিনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। গাড়ির নিবন্ধনও তার বাবার নামে।
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া মুবিন আল মামুন, মিরাজুল করিম, এবং আসিফ চৌধুরীর ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে মুবিন ও মিরাজুলের পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় মুহতাসিম মাসুদ তার দুই বন্ধু মেহেদী এবং অমিতকে নিয়ে ৩০০ ফুট সড়কে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাত ৮টার দিকে নীলা মার্কেটে রাতের খাবার খেয়ে ফেরার পথে তারা পুলিশ চেকপোস্টে থামেন। ওই সময় একটি প্রাইভেট কার দ্রুতগতিতে চেকপোস্ট অতিক্রম করে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়, এতে ঘটনাস্থলেই মুহতাসিম মাসুদ মারা যান এবং বাকি দুজন আহত হন।
ঘটনার পর প্রাইভেট কারে এক ক্যান বিয়ার ও একটি মদের বোতল পাওয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ডোপ টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠায় এবং তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে। রিমান্ড শুনানি আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, বুয়েট শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন সতীর্থরা।