সংবাদ শিরোনাম: |
আবসরে যাওয়ার ১৫ দিন পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষককে নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষন দিচ্ছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ঘটনাটি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা বিভাগের। ওই শিক্ষকের নাম মতিয়ার রহমান। তিনি উপজেলার কে.বি. ইব্রাহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ২৫জন শিক্ষক নিয়ে নেতৃত্ব বিষয়ক দক্ষতা শিরোনামে ১৪দিনের একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। গত ৬জানুয়ারি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়, আগামী ১৯জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রশিক্ষণের তালিকায় ২৫জন শিক্ষকের মধ্যে কে.বি. ইব্রাহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী অবসরে যাবেন। একই কোর্সে অংশগ্রহন করছেন মোসাম্মৎ নাসিমা আকতার নামে মধ্যবাইন চটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনিও অবসরে যাবেন ২ মাস পরে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, অবসরে যাওয়ার ১৫দিন পূর্বে একজন শিক্ষককে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি প্রশিক্ষণে পাঠানো উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা, সরকারি অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না এমনটা মনে করছেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে- প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা কি বাস্তবায়ন হচ্ছে? অবসরে যাওয়ার ১৫দিন পূর্বে প্রশিক্ষণ প্রদান প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এ প্রশিক্ষণ কতটুকু কাজে লাগবে প্রশ্ন সচেতন মহলের।
পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসিন কবির বলেন, চাকুরীর শেষ মুহূর্তে এধরনের প্রশিক্ষন খুব কাজে আসে না। তিনি বলেন কলেজের নীতিমালায় চাকুরী কাল ৫ বছর না থাকলে কাউকে প্রশিক্ষনে পাঠানোর নিয়ম নেই।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, আইনে এমন নেই যে অবসরে যাওয়ার আগে কোন শিক্ষককে প্রশিক্ষনে পাঠানো যাবেনা। বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মো. ছালেহ বিষয়টি জানেন না বলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রশিক্ষণ গ্রহন করা এ শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারেবে কিনা প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।#