সংবাদ শিরোনাম: |
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল ১৯শে জানুয়ারী। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো কিনা তা আমরা জানি না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বকালীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা যখন পাকিস্তানের কাছে নিজেদের পরিবারকে সুসংগঠিত রেখে আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছিলো। যদি বাংলাদেশের তখন নেতারা ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ দেশ যুদ্ধের বক্তব্য দিতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীন হতে এতো রক্তপাত হতো না। কিন্তু আমার দেখেছি পাকিস্তানের ক্ষমতার লোভে সেই ক্ষমতা লোভী সরকার তখন কার শেখ মুজিব নিজের পরিবারকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে সুরক্ষিত রেখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, তখন একটি নাম রাস্ট্রপতি শহীদ মেজর জিয়াউর রহমান। আমি মেজর জিয়া বলছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে, একটি দেশ বিহীন, একটি নেতৃত্ব বিহীন জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলো। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরে শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে যে ভাবে ক্ষমতা লোভী বাংলাদেশকে একদলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করেছিলো। ঠিক ১৭টি বছর তারই কন্যা ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশকে সেই একই অবস্থায় নিয়েছে। আপনারা গত ১৭ বছরের যে ষড়যন্ত্র দেখেছেন, কিন্তু এই ষড়যন্ত্র শুধু গত ১৭ বছরের হয়নি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি কুলাঙ্গার জাত একটি কুলাঙ্গার রাজনৈতিক দল অবস্থান নিয়ে এদেশের মানুষকে হত্যা করেছিলো। এদেশের মানুষের ইজ্জত নষ্ট করেছিলো। ঠিক একই ভাবে সেই রাজনৈতিক দল গুলো একতাবদ্ধ হয়ে ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে একত্রিত ঘোষণা করে শেখ হাসিনা এবং জামাত নির্বাচন করেছিলো। আপোষহীন থেকে ছিলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গনতন্ত্রের পূর্নউদ্ধার করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, টানা গত ১৭টি বছর দেখেছি কিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে একটু চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি। আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন ষড়যন্ত্র তো আজ শুরু হয়নি আমরা দেখেছি ২০০৮ সালে নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ যেভাবে মীরজাফরের জন্ম হয়েছিলো বাংলাদেশে ঠিক একই ভাবে সিরাজুদ্দৌলার জন্ম হয়েছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশের সেনবাহিনীর উপর প্রথম আঘাত করেছিলো। ৫৭জন বিডিআর অফিসারকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবার ভারতের তাবেদার রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিলে। ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি ভারতে বসে এখনো শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সিমান্তে কাটা তারের বেড়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সকল ষড়যন্ত্র করছে। ১৭টি বছর বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে কিভাবে দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে।আপনারা বলেছেন রাজাপুরের কিছু কুলাঙ্গার সন্তান এই বিএনপির বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র করে নাসিম আকনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে। নাসিম আকন একা নয় সবাই তার সঙ্গে আছে। আপনারা যারা ষড়যন্ত্র করতাছেন যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এই ষড়যন্ত্র কারীদের আশ্রয় হবে বঙ্গপসাগরে রাজাপুর কাঁঠালিয়া কোন ষড়যন্ত্র কারীর জায়গায় হবে না।
বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আপনারা দেখেছেন কিভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী, বায়তুল আকরামের খতিবসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার পর্যন্ত পালিয়ে গিয়েছে।আপনাদেরকে আমরা সুরক্ষা দিচ্ছি এই মাতৃভূমিতে আমাদের গত ১৭টি বছর সন্ত্রাস, নির্যাতন করেছেন আমাদের ৭০০ মানুষ আজও নিখোঁজ রয়েছে তাদেরকে গুম করেছেন। ২০ হাজার কর্মীকে হত্যা করেছেন, আমাদের ৬০ লক্ষ নেতাকর্মী বিনা অপরাধে জেলে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়েছেন, তারপরেও আমরা আপনাদের সুরক্ষা দিচ্ছি নেতার নির্দেশে। আমাদের নেতা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে কোন ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজির জায়গা না বিএনপিকে যারা ভালোবাসে তারা এদেশের গনতন্ত্রকে ভালোবাসে। শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশের রাষ্টপ্রতি ছিলেন অথচ ঢাকা শহরে তার একটি বাড়ি নাই। কারণ জিয়াউর রহমান তার পরিবারের জন্য রাজনীতি করেননি এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার আর্দশ ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ৩বার প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু ঢাকা শহরে একটি বাড়ি নাই। অথচ শেখ হাসিনার ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বাড়ি আছে। তার পরিবারের নামে ১০টি প্লোট ঢাকা শহরে কিন্তু জিয়া পরিবারের একটিও জায়গা নাই।
রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ নাজমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম আকন ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব রফিক মৃধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হক নান্টু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. নুর হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রতন দেবনাথ, কৃষক দলের সভাপতি মো. মাসুম হাওলাদার, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাব্বি, মহিলা দলের নেত্রী ফেরদৌসী ইয়াসমিন।