বরগুনার বামনা লঞ্চ টার্মিনাল ও গাজীরপুল বাসস্ট্যান্ডে ঈদের ছুটির শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে নৌবাহিনী। শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌবাহিনীর সা. লে. সাইদ মাহির আলম (এক্স), বিএন (পি নং–৪২২১)।
অভিযানের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাউন্টারগুলোকে সতর্ক করা হয় নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে না যেতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীসহ কর্মস্থলে ফিরতে লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে। এই সুযোগে বেশ কিছু পরিবহন ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে।
ঢাকাগামী যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ সময়ে এই রুটে বাসভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু আজ আমাকে ১১০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে দিয়েছি, কারণ বিকল্প কিছু ছিল না।’
একই অভিজ্ঞতা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তনিমা জামান বলেন, ‘প্রতিবার ঈদের পর এমন পরিস্থিতি হয়। কাউন্টারে গেলে তারা বলে, যেতে চাইলে যাও, না চাইলে অন্য কোথাও যাও।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘প্রতিবার ঈদের মৌসুমে বাড়তি ভাড়া আদায় করে পরিবহন ও লঞ্চ কতৃপক্ষ গুলো।
নৌবাহিনীর সা. লে. সাইদ মাহির আলম বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব ও পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে কয়েকটি বাস কাউন্টার ও লঞ্চ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা সেই টাকা যাত্রীদের ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছি এবং সতর্ক করে দিয়েছি।’
যাত্রীরা বলছেন, শুধু ঈদের সময় নয়, বছরজুড়েই পরিবহন খাতে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলে কেউ আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার সাহস করবে না।