টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় নগদ ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা, একটি হাইএস মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেলসহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল মৌ গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে মো. মিলন (৪৬) এবং রাজবাড়ী জেলা সদরের খানখানাপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন মামুন (৫০)।
পুলিশ জানায়, গত ১১ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে হাইএস মাইক্রোবাস চালক মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইএস মাইক্রোবাস ও নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, মিলনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে মামলার সেকেন্ড ইন কমান্ড ইসমাইল হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে উপজেলার খাটিয়ার বাজার এলাকা থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি পিস্তলের ১০ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পিস্তলের গুলি উদ্ধারের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনের মধ্যে মামুনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে গোড়াই-সখিপুর আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০-১২ জন ডাকাত হাইএস মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে মহিষ ব্যবসায়ীদের বহনকারী প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভীতি সৃষ্টি করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নগদ ৭৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ওই দিনই ডাকাতির মামলা হয়। পরে লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।