×
শনিবার ● ২১ জুন ২০২৫ ৭ আষাঢ় ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম: বামনায় একধিক ফেক আইডির ফেসবুক পোষ্টে বিভ্রান্তিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় উচ্চমহল,নেয়া হয়েছে আইনী ব্যবস্থা চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক আর নেই পাথঘাটায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে নৌবাহিনীর তৈরি সাঁকো পরিদর্শনে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পাথরঘাটায় ঈদ উপলক্ষে যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট- ৫টি মোটরসাইকেলে জরিমানা, ১টি জব্দ লক্ষ্মীপুরা দাখিল মাদ্রাসায় নতুন কমিটি: সভাপতি নাসির উদ্দিন নিলু গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্থানীয় বিজ্ঞাপনে কলুষিত সাংবাদিকতা: গণমাধ্যমের সুরক্ষা সাংবাদিক জালাল উদ্দিন জুয়েলের বাবা আব্দুর রশিদ আর নেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
আমতলীতে ২জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, বেহাল দশা
প্রকাশ : রবিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৫, ১০:৪৩:০০ পিএম
জাকির হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক::
GK_2025-04-27_680e5f4d778ea.jpg

আমতলী উপজেলায় চিকিৎসক সংকট মারাত্মক আকার ধারন করেছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৩১টি পদের মধ্যে ২জন চিকিৎসক রয়েছে। ২৯টি চিকিৎসকের পদ শুন্য থাকায় উপজেলায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ২জন চিকিৎসক কোনই কাজে আসছে না ফলে আমতলীতে স্বাস্থ্য সেবা একে বারেই ভেঙ্গে পড়েছে।
আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলা সদরে ৫০ শয্যায় হাসপাতাল ১টি, কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারে ১০ শয্যার হাসপাতাল ১টি, এবং আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে ১টি করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হলদিয়া ইউনিয়নের সেনের হাটে ১ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এসকল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ৩১ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১জন জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জন, ১জন জুনিয়র মেডিসিন কনসালটেন্ট, ১জন গাইনি কনসালটেন্ট,১জন ডেন্টাল সার্জন, ১জন অঞ্জানবিদ, জুনিয়র কনসালটেন্ট নাক, কান, গলা, চোখ ও চর্ম রোগের প্রতিটি পদের জন্য মোট ৬জন, ১জন আরএমও ও ২জন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। বর্তমানে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ২জন মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আছেন আর বাকী ২৯টি চিকিৎসকের পদ দীর্ঘ দিন খালি রয়েছে। আমতলী হাসপাতালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ডা. ফায়জুর রহমান নামে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার যোগদান করেন। যোগদানের পর ওই দিন বিকেল থেকেই এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারন জানতে চেয়ে তাকে পাঁচ বার কারন দর্শাও নোটিশ দেওয়াসহ তার বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি কারন দর্শাও নোটিশের জবাব দেননি। এমনকি তিনি কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অফিসিয়াল ও প্রশাসনিক কাজের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকেন। এ অবস্থায় ২জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে ৫০ শয্যায় হাসপাতালের বহি:বিভাগ, আন্ত:বিভাগ ও জরুরী বিভাগ চালানো মোটেই সম্ভব নয়। এ অবস্থায় অনেক রোগী চিকিসা সেবা না পেয়ে আমতলী হাসপাতালে এসে পেরৎ যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মোখলেছ নামে এক রোগী এসেছিলেন আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্ত চিকিৎসক সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চলে যান পটুয়াখালী জেলারেল হাসপাতালে। শনি ওরবিবার সকালে আমতলী হাসপাতা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আগের মত হাসপাতালে এখন আর তেমন রোগী নেই। বহি:বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসকের রুম তালাবদ্ধ। রোগীরা এসে ঘুরে ফিরে আবার চলে যাচ্ছে। এসময় কথা হয় হলদিয়া থেকে আসা রুশিয়া নামের ষাটোর্ধ এক রোগীর সাথে তিনি জানালেন, শরীর খাউজায় (চুলকায়) এইর লইগ্যা আইছিলাম ডাক্তার দেহাইতে। হুনলাম এহানে কোন ডাক্তার নাই। মোরা গরীব মানুষ মোগো হগল জায়গায় মরন দশা। টাহা নাই এহন কই যামু ডাক্তার দেহাইতে।
এদিকে কুকুয়ার আজিমপুর বাজারে ১০ শয্যার হাসপাতাল, গাজীপুর ও গুলিশাখালী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন চিকিৎসক না থাকায় মাষাধিকাল ধরে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারী,ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম মৃদ্রাক্ষরিক,পরিসংখ্যানবিদ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) ম্যাডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ফিজিওথেরাপি) উপসহকারী মেডিকেল অফিসার চার জন, কার্ডিও গ্রাফার চার জন, ষ্টোর কিপার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক তিন জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাত জন, স্বাস্থ্য সহকারী ২৬ জন, জনড্রাইভার একজন, জুনিয়র মেকানিক একজন। তৃতীয় শ্রেণির ওয়ার্ডবয়, আয়া, মালী, বাবুর্চি নিরাপত্তা প্রহরী এবং পরিচ্ছন্নতাকার্মীসহ ৮৮ পদেও মধ্যে ৫২টি পদ খালি এবং চতুর্থ শ্রেণির ৩৪টি পদের মধ্যে ১৬টি পদ খালি। দীর্ঘদিন ধরে এসকল পদ খালি থাকায় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাত্তায় মারাত্মতক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অন্যান্য পদের কর্মচারী না থাকায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজেও মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার জানান, চিকিৎসক সংকটের কথা জানিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক পাওয়া গেলে আশা করি এ সংকট থাকবে না।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কথা স্বাস্থ্য মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুরের চিকিৎসকদের এ অঞ্চলে পদায়ন করা হলে তারা এখানে এসে থাকতে চায় না তাই নিজ উপজেলার চিকিৎসকদের পদায়ন করলে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝