হেলভেটাস কো-অপারেশন ও জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং রূপান্তর বাস্তবায়িত ইকো সুন্দরবন প্রকল্প ও ইয়ুথ ফর সুন্দরবন ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আলোচকরা বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রেখেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় বহু জেলা ও উপজেলাকে রক্ষা করে চলেছে এই বন। শুধু প্রাণিকুল নয়, মানুষের জীবন ও জীবিকাও এই বনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই সুন্দরবনের সুস্থতা মানেই পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা।
তবে সুন্দরবন আজ নানা ধরনের দূষণের শিকার। বিশেষ করে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ, নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরা এবং শিল্পবর্জ্যের কারণে এই অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ চরম হুমকিতে পড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইয়ুথ ফর সুন্দরবন ফোরামের তরুণ-তরুণীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে। তারা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাসে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে এবং পরিবেশবান্ধব জীবনধারার চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা সুন্দরবন রক্ষায় ডিজিটাল মাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের উপর জোর দেন। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশগত গুরুত্ব, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এ সময় অতিথি হিসেবে ছিলেন বরগুনা নাগরিক প্লাটফর্ম আহবায়ক চিত্তরঞ্জন শীল, সুন্দরবন সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা আহবায়ক ও পরিচালক কমিউনিটি রেডিও লোকোবেতার মোঃ মনির হোসেন কামাল, বরগুনা নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কমিটির সিনিয়র সদস্য ও উপজেলা টিম লিডার সিপিপি বরগুনা সদর মোঃ জাকির হোসেন মিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোঃ সালেহ, বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম মেহেদীসহ স্থানীয় সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী, পরিবেশকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সুন্দরবন বাঁচলে উপকূল বাঁচবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে ‘ইয়ুথ ফর সুন্দরবন’ কাজ করে যাচ্ছে, একটি সবুজ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে।