সংবাদ শিরোনাম: |
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ও লতাচাপলী ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে কারিতাস। কারিতাস বরিশাল অঞ্চল পরিচালিত একর্যাব প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার ২০ মে শেষ বিকেলে কারিতাস, মহিপুর অফিসে এই সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কারিতাস বরিশাল অঞ্চল, আঞ্চলিক পরিচালক, মি. ফ্রান্সিস বেপারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, মো. নাহিদ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিতাসের কর্মসূচি কর্মকর্তা সম্রাট সেরাও, উপকূলীয় মানব উন্নয়ন সংস্থা (সিকোডা)-এর নির্বাহী পরিচালক ও দৈনিক ‘আজকালের কণ্ঠ’-এর উপ-সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফ আলী ও সুজন চন্দ্র মন্ডল, কারিতাস প্রয়াস প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, কারিতাসের ল্যান্ড এন্ড কেস মনিটরিং অফিসার মংম্যা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের ধরিত্রী ও একর্যাব প্রকল্পের জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা মি. জর্জ বৈরাগী।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো—পরিবেশবান্ধব কৃষি (এ্যাগ্রোইকোলজি) চর্চার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল অভিযোজন কৌশল বৃদ্ধিতে প্রান্তিক পরিবারগুলোর সক্ষমতা অর্জন নিশ্চিত করা প্রকল্পের আওতায় মহিপুর ও লতাচাপলী ইউনিয়নের মোট ২০টি গ্রামের ১,০০০টি প্রান্তিক পরিবারকে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এর মধ্যে মহিপুরে ৩৯৯ জন এবং লতাচাপলীতে ৬০১ জন সুবিধাভোগী অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত একর্যাব প্রকল্পের আওতায় মোট ১,০০০ জন প্রান্তিক পরিবারকে ১ কোটি, ২৮ লাখ, ৬৫ হাজার টাকার সহায়তা পর্যায়ক্রমে প্রদান করা হবে বলে অফিস সূত্রে জানা যায়।
সহায়তা প্রদানের মধ্যে রয়েছে কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে: প্রতি জনকে ৫,০০০ টাকা করে, মোট ১,০০০ জনকে ৫০ লাখ টাকা। শাক-সবজি চাষে: প্রতি জনকে ৩,৮৮৫ টাকা করে, মোট ১,০০০ জনকে ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ‘বন্ধু চুলা’ স্থাপনে: প্রতি জনকে ২,০০০ টাকা করে, মোট ৫০০ জনকে ১০ লাখ টাকা। বীজ ভাণ্ডার গঠনে: প্রতি জনকে ১২,০০০ টাকা করে, মোট ২০ জনকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কৃষি ডেমো প্লট (প্রদর্শনী বাগান) তৈরিতে: প্রতি জনকে ১৫,০০০ টাকা করে, মোট ২০ জনকে ৩ লাখ টাকা। গ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র স্থাপনে: প্রতি জনকে ২০,০০০ টাকা করে, মোট ২০ জনকে ৪ লাখ টাকা। গ্রাম পর্যায়ে বনায়নে: প্রতি জনকে ১২,০০০ টাকা করে, মোট ১২০ জনকে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পুকুর পুনঃখননে: প্রতি পুকুরে ২,০০,০০০ টাকা করে, মোট ৩টিতে ৬ লাখ টাকা।