সংবাদ শিরোনাম: |
দৈনিক সাগরকুলের প্রধান প্রতিবেদক এবং ঢাকা অফিসের প্রধান, সিনিয়র সাংবাদিক জালাল উদ্দিন জুয়েলের বাবা আব্দুর রশিদ মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ১০২ বছর। সাভারের মেজো মেয়ের বাসায় থাকাকালীন দুপুর ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আব্দুর রশিদ ছিলেন এক বর্ণময় জীবনের অধিকারী। প্রায় শতবর্ষী এই মানুষটি তার দীর্ঘ জীবনে রেখে গেছেন অগণিত স্মৃতি ও ভালোবাসার পরশ। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং সাংবাদিক মহলে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
সাংবাদিকতা জগতে শোকের আবহ
জালাল উদ্দিন জুয়েল সাংবাদিকতা জগতে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ (এসএসপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তার বাবার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ গভীরভাবে শোকাহত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাংবাদিক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা জালাল উদ্দিন জুয়েলের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে আব্দুর রশিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
শেষকৃত্য নিজ গ্রামে
মরহুম আব্দুর রশিদের দাফনকার্য বুধবার (২৮ মে) সকালে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বকুলতলী গ্রামের মাস্টার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
দৈনিক সাগরকুলের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নেছার উদ্দিন এক শোকবার্তায় আব্দুর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেছার উদ্দিন বলেন, "আব্দুর রশিদ একজন সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।"
স্মৃতিতে অম্লান আব্দুর রশিদ
আব্দুর রশিদের জীবন ছিল সরলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। তিনি তার কর্মজীবনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তার দীর্ঘ জীবন ছিল অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞায় ভরপুর। তিনি তার সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়েছেন এবং তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে উৎসাহিত করেছেন। জালাল উদ্দিন জুয়েল তার বাবার আদর্শকে ধারণ করে সাংবাদিকতা জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রশিদ শেষ বয়সে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন, তবে তার মনোবল ছিল অটুট। শেষ দিন পর্যন্ত তিনি পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্যে আনন্দেই সময় কাটিয়েছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
আব্দুর রশিদের প্রয়াণ সাংবাদিক সমাজ এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ক্ষতি। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি তার কর্ম ও আদর্শের মাধ্যমে সকলের মাঝে বেঁচে থাকবেন।