| সংবাদ শিরোনাম: |
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঁঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে সংঘটিত এক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলটির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা গোলাম আজম সৈকত ও রফিকুল ইসলাম জামালের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরদিন রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে দুই পক্ষই পৃথক স্থানে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা গোলাম আজম সৈকত। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ শেষে ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।”
তিনি হামলার জন্য দায়ী করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম জামাল এবং তার অনুসারীদের। সৈকতের দাবি,
“রফিকুল ইসলাম জামাল বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে একের পর এক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।”
তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানান।
অপরদিকে, একই দিন দুপুরে রাজাপুর উপজেলার বাঘরী এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন রফিকুল ইসলাম জামাল। তিনি সৈকতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন,
“ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো কর্মী বা অনুসারী জড়িত নয়। এটি একটি সাজানো নাটক। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন
“আমি সবসময় দলীয় শৃঙ্খলার ভেতরে থেকেই রাজনীতি করে এসেছি। কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, তবে তার দায় দল নেবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতার পক্ষ থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন সামনে রেখে দলের ভেতরে বিভক্তি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপির মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর মুখোমুখি অবস্থান দলীয় ঐক্যে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।