বিষ প্রয়োগ, শিল্প ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করে পশুর নদ বাঁচাও, সুন্দরবন বাঁচাও। পশুর নদে প্রতিনিয়ত কয়লা ও তেলবাহী জাহাজডুবির ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে। পশুর নদের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা পাবে। জাহাজি বর্জ্য, কয়লা, তেল এবং প্লাস্টিক দূষণে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদের জলজপ্রাণীর প্রজননে সমস্যা হচ্ছে। নদী একটি জীবন্ত সত্তা। নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বিশ্ব নদী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মোংলার পশুর নদের পাড়ে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মানববন্ধন এবং প্রতীকী নদী পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসুচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। সুন্দরবনের নদী খালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ, শিল্প দূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসুচি পালিত হয়।
শনিবার সকাল ১০ টায় মানববন্ধন ও প্রতীকী নদী পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচিতে সভাপতি এবং প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার, শেখ রাসেল, তন্বী মন্ডল, প্রদীপ সরকার প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন নদী মাতৃক বাংলাদেশের নদী-খাল আজ বিপন্ন। নদী দখল এবং দূষণে বাংলাদেশ এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পশুর নদের জলজ প্রাণী অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলছে। নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন এখন সুন্দরবনের এক নম্বর সমস্যা। নদী দখল ও দূষণকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন উপজেলা ও জেলা নদী রক্ষা কমিটিকে সচল করতে হবে। নদীর অভিভাবক হিসেবে নদী রক্ষা কমিশনকে সক্রিয় ও ক্ষমতায়ন করতে হবে। নদী দখল ও দূষণকারীদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানববন্ধন শেষে পশুর নদের প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসুচি পালন করা হয়।